তাদের মতে, প্রত্যাশিত ফল আনতে ব্যর্থ হওয়ায় উক্ত জলবায়ু সম্মেলনের প্রতি স্বল্পোন্নত ও জলবায়ু বিপদাপন্ন দেশগুলোর আস্থা হ্রাস পেয়েছে।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সম্মেলন কক্ষে ‘মাদ্রিদ জলবায়ু সম্মেলন এবং নাগরিক সমাজের পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।
কোস্ট ট্রাস্টের উপ-পরিচালক ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক সৈয়দ আমিনুল হক বলেন, ‘মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত কপ-২৫ ইতিহাসের অন্যতম দীর্ঘ সময় ধরে চলা জলবায়ু সম্মেলন হলেও অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে এটি কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি এবং সার্বিকভাবে আয়োজনটি হতাশার মাধ্যমেই শেষ হয়েছে। প্রধান দূষণকারী দেশগুলো কীভাবে ২০২০ সালের মধ্যের তাদের গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করবে সেই পরিকল্পনা উত্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সম্মেলনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহের ওপর আলোচনায় উন্নত এবং অধিক বিপদাপন্ন দেশগুলোর মধ্যে গভীর বিভাজন ও মতবিরোধের ফলে ২০২০ সালের জলবায়ু সম্মেলনের আলোচনা-সমঝোতাও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এজন্য সরকারকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে এবং নিজস্ব সক্ষমতার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু কৌশলসমূহ নির্ধারণ বা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’
বাংলাদেশ সেন্টার ফর এডভান্স স্ট্যাডিসের (বিসিএএস) নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান বলেন, ‘লোক দেখানো আলোচনা সমঝোতায় বিশ্বের বিপদাপন্ন মানুষকে নিরাপদ করার চেয়ে রাজনীতি ও জীবাশ্ম জ্বালানীর স্বার্থ বড় হয়ে উঠেছে। এই অপরাজনীতি করছে মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অষ্ট্রেলিয়া, ব্রাজিলের মতো ধনী দেশগুলো।’
সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর সাসটেইনেবল রুরাল লাইভলিহুডের জিয়াউল হক মুক্তা, সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, বাংলাদেশ ক্লাইমেট জার্নালিস্ট ফোরামের মো. মোতাহার হোসেনসহ অন্যরা।